আবু জার গিফারী, যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ- কেশবপুর শহরের অধিকাংশ গ্রাম তলিয়ে আছে পানিতে। হরিহর নদের পানি উপচে তলিয়ে আছে যশোরের কেশবপুর শহর। তিন দিন ধরে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বৃষ্টির কারণে নামছে না পানি। বসত-ঘর, অলি-গলি তলিয়ে আছে পানিতে। এমনকি কেশবপুরের প্রায়ই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থই থই করছে পানি ক্লাস নিতে সমস্যায় পড়ছে শিক্ষকরা।
আজ শুক্রবার কেশবপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়
কেশবপুর থেকে কলাগাছি যাওয়ার প্রধান সড়কে পানি উঠেছে অনেকদিন রাস্তার বেহাল দশা কেও সাহস পাঁচ্ছে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার অন্য রাস্তা ব্যাবহার করছে অধিকাংশ লোকজন। কেশবপুর পৌরসভাসহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৮০ পরিবারের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। আলতাপোল গ্রামের আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, তাদের বাড়িতে পানি উঠেছে আজ ২/৩ মাস ধরে উঠানে পানি কোথায় ভালোভাবে যাওয়া আসা করতে পারছি না অনেক সমস্যার ভিতর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
পাঁজিয়া পাথরঘাটা গ্রামের রশিদুল ইসলাম বলেন আমার বাড়ি উঠানে পানি যাতায়াত এর সমস্যা গরু আছে গোয়ালে পানি উঠবো উঠবো হয়ে গেছে কানায় কানায় পানি।
পাঁজিয়া থেকে কলাগাছি যাওয়ার প্রধান সড়কে পানি উঠেছে এই ঘূর্ণিঝড় দানার জন্য টানা বৃষ্টির কারণে পানি উঠেছে রাস্তায়। সুফলাকাটী ইউনিয়ন এর বেতীখোলা গ্রামের শফিয়ার মোল্লা বলেন আমাদের উঠানে একটু ভারি বৃষ্টির কারণে আমার বসতবাড়ি সহ গোয়াল ঘরে উঠেছে পানি অনেক ভুগান্তির ভিতর আছি।
বেতীখোলা মাঝের পাড়া গ্রামের হাফিজ হোসেন বলেন আমার উঠানে পানি উঠেছে আজ ২ মাস আসতে আসতে পানি বৃদ্ধি হচ্ছে দিন গেলেই আমার কয়েকটা গরু ছাগল রয়েছে অনেক ঝামেলা হচ্ছে যাতায়াত থেকে শুরু করে সকল ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাচ্চা নিয়ে বিপদে আছি।
বেতীখোলা পূর্বপাড়া গ্রামের ওলিয়ার রহমান সরদার বলেন আমাদের এখানে এখনো পানি উঠেনি তবে এভাবে যদি বৃষ্টি লেগে থাকে তাহলে আমাদের এখানেও পানি উঠবে দ্রুত। আবু সাঈদ সহ অনেকে ও একই কথা বলেন। সুফলাকাটী ইউনিয়নের তিন নম্বর নারায়পুর বেতীখোলা ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কালাম পাটোয়ারী বলেন আমাদের চেয়ারম্যান এস এম মনজুর রহমান সে পানি সরানোর জন্য কাজ করে চলেছে।
চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান বলেন আমি জানি যে আমার ইউনিয়ন সহ কেশবপুর প্রায় অঞ্চল প্লাবিত আপনারা জানেন তার ভিতর আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি আশাকরি খুব দ্রুতই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা হবে। সরেজমিন পরিদর্শনকালে জরুরি ভিত্তিতে কেশবপুরের জলাবদ্ধতা নিরসনে আপত্কালীন তিনটি নদ-নদীতে কাজ শুরু হয়েছে।