নুরুল আবছার, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ- কক্সবাজারের অন্যতম আলোচিত-সমালোচিত নারী, সাবেক স্বৈরাচার এমপি কমলের উপর একমাত্র ভরসা করে যিনি কক্সবাজারের বহু অপকর্মের মূল হুতা তিনি একজন শেফালী। চলাফেরা করেন ভিআইপিদের সাথে। কিন্তু চাকরি করেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ক্লিনার হিসেবে। ক্লিনারের চাকরি করলেও তিনি সাবেক এমপি কমলের প্রভাব বিস্তার করে পুরো হাসপাতালের দায়িত্ব থাকা নার্স এবং ডাক্তারদের জিম্মি করে সকল ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল, রোগীদের সাথে দূর্ব্যবহার এবং নার্সদের সাথে অসদাচারণ করার অভিযোগ রয়েছে।
হাসপাতাল থেক চুরি করে সরকারি অসুধ বাহিরে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগোও রয়েছে। পাশাপাশি রোগিদের জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ অহরহ। শেফালী নিজেকে সাবেক আওয়ামী লীগের এমপি কমলের ভাইয়ের বউ পরিচয় দিয়ে হাসপাতালে সমস্ত অপকর্ম করে বিভিন্ন কর্মচারীদের সাথে যোগসাজশে নানা অপরাধ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, এমপি কমলের নিয়মিত নারী সাপ্লাই দেয়ার একমাত্র বিশ্বস্ত মাধ্যম। কক্সবাজার জেলার সুন্দরী নারীদের ভক্ষণ করতে শেফালী নিজেই এমপি কমলের হাতে তুলে দিয়ে আসত। পাশাপাশি নিয়মিত রাতের রমনী হিসেবে নিজেও বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে সাজসজ্জা হয়ে শহরে দাপিয়ে বেড়াত। নিজের দাম্ভিকতায় এমন কোন ব্যাক্তি রেহাই পাইনি যেখানে ডাক্তার থেকে সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষ থেকে সাংবাদিক সকলেই তার রোষানলে ফেলে মামলায় ফাঁসিয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন সাংবাদিক নিউজ করতে গেলেই মামলা এবং হুমকির শীকার হয়েছে। সে এমপি কমলের পরিচয় দিয়ে দিয়ে মানুষকে হুমকি দিয়ে নানা অপরাধ করে পার পেয়ে গেছে। হুমকির অনেক কল রেকর্ড ইতিমধ্যেই কক্সবাজারে ভাইরাল হয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল।
এদিকে কক্সবাজার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড বাদশাহঘোনা এলাকায় একটি বিশাল আকার পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে। পাশাপাশি একই সাথে লাগোয়া আরোও বড় একটি পাহাড় কর্তন করেছে। যেটি পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা দেয়ার পরেও থেমে নেই। তার নেতৃত্বে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা শ্রমিক এনে রাতে দিনে বিশাল আকার পাহাড় কেটে বিলীন করা হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারে বিষয়টি নিয়ে বারবার অবগত করা হলেও তেমন কোন মাথা ব্যাথা করার সুযোগ তাদের কাছে নাই মনে হয়। শেফালী নিজেকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী মনে করে দেদারসে পাহাড় কাটা থেকে শুরু করে সবকিছু করে। ইতিমধ্যে পাহাড় কাটার অনেক ভিডিও ফুটেজ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত।
অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের ডিউটি শেষ করে রাতের বেলায় মাদকের রমরমা বাণিজ্যের। কলাতলি হোটেল মোটেল জুন এলাকায় ইয়াবা সাপ্লাই দেয়ার পাশাপাশি পতিতা সাপ্লাইয়ে নিজেকে একচেটিয়াভাবে কাজ করেন। এলাকাবাসী এসব বিষয়ে মুখ খুললেই বিপদেে ভয়ে বলতে অনীহা প্রকাশ করে। আবার কেউ এসবের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করতে চাইলে তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে ব্ল্যাক মেইল করার অভিযোগ তুলেছে অনেক প্রতিবেদক।
স্থানীয় নাম না বলা স্বত্বেঃ একজন সমাজপতি বলেন, শেফালী এলাকায় একটি ভয়ংকর নারী। যার নেতৃত্বে হাসপাতাল ও এলাকায় অবৈধ সব কান্ড চলে। সে নিয়মিত নারী সাপ্লাই ইয়াবা এবং হাসপাতালে চাকরির নামে প্রতারণা করে অবৈধ পন্হাই লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিলাশ বহুল জীবনযাপন করে। একটা হাসপাতালের ক্লিনার যদি মন্ত্রীর বেশেই চলাফেরা করে তাহলে আয় রোজগারের পথ অবশ্যই প্রশ্নবৃদ্ধ হবে। সুতরাং শেফালীকে খতিয়ে দেখে আইনের আওতায় আনা হোক।
একইভাবে অহরহ সচেতন মানুষের অভিযোগ, শেফালী নিজেকে সাবেক স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের এমপি কমলের ভাইয়ের বউ পরিচয় দিয়ে দিয়ে এলাকায় এবং কক্সবাজারের বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি করেছে। মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু সেসময় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলে বলতে পারেনি। বললেই বিভিন্নভাবে মামলায় ঢুকিয়ে দিয়ে হয়রানি করেছে।
শেফালীর এসব অপরাধের সম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করের বর্তমানে একই এলাকার অন্যতম পাহাড় খেকু রবি আলম। নিয়মিত পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতে নিয়মিত বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে ধর্ণা দেয় এই রবি আলম। রবি আলমের নেতৃত্বে শেফালীর সব অপকর্ম ঢাকতে মরিয়া।
শেফালীর কাছে তার এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য কল করা হলে তিনি প্রতিবেদককে হুমকি দিয়ে বলেন, আমি অনেক সাংবাদিককে চাঁদাবাজি মামলা দিয়েছি। আমার ক্ষমতা অনেক বেশি। আমার বিরুদ্ধে পত্রিকার মালিক পর্যন্ত নিউজ করবেনা। কারণ সব পত্রিকার মালিক আমার হাতে। এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতনদের দাবী শেফালীর এসব অপকর্ম থামানো না গিলে তার জিম্মি দশা থেকে রেহাই পাওয়ার কোন সুযোগ থাকবেনা।