নুরুল আবছার, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ- কক্সবাজার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড বাদশাহঘোনা এলাকায় এক নারী মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে ফাঁস খেয়ে আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। আত্মহত্যাকারী ঐ নারী একই এলাকার কাসেম খলিফার ছেলে আব্দুর রহমানের স্ত্রী সারমিন আক্তার (১৮) বলে জানা গেছে। সারমিন আক্তার খুরুশকুল এলাকার পালপাড়া ৬ নং ওয়ার্ড হাফেজ আহমেদের মেয়ে বলেও জানা যায়। গত ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধা সাতটায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায় যে, গত ২০২২ সালে আবদুর রহমানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সুখের সংসার করে আসছে। আব্দুর রহমান পিতা মাতা নিয়ে বউ বাচ্চা নিয়ে সুন্দর করে সংসার করে আসছে। কিন্তু সারমিন আক্তার মাঝে মাঝে ব্যতিক্রম কথা বার্তা বলে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি করে আসছে। নিয়মিত আত্মহত্যার ভয় দেখিয়ে দেখিয়ে হুমকি প্রদান করত আব্দুর রহমানকে। অহেতুক মা বাবার কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করত সারমিন আক্তার। কিন্তু বয়স্ক মা বাবাকে আলাদা করে কোন প্রকারেই আলাদা হতে চাইতনা আব্দুর রহমান। দীর্ঘদিন এসব কলহের জের ধরে নিয়মিত নিয়মিত ঝগড়া তৈরী করত স্ত্রী সারমিন আক্তার।
দীর্ঘ বছর দেড়েক এইভাবে ঝগড়াঝাটি করতে করতে অতর্কিত অঘটন ঘটিয়ে বসে থাকত মেয়েটি। নিয়মিত এসবের ভিতরে গত চার মাস আগে হারফিক খেয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। যা দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। যার প্রমাণাদি সংরক্ষিত রয়েছে। একিকে কিন্তু নাসের বান্ধা আব্দুর রহমান নিরুপায় হয়ে দিনাতিপাত করে সংসার চালাতে মরিয়া। কিন্তু হঠাৎ এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে একটি ভিন্ন পায়তারা করছেন শারমিনের পরিবার। এসব ঘটনাকে নিয়ে এখন একটি সেন্ডিকেট উঠেপড়ে লেগেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর ভিন্ন মতামত।
এলাকাবাসী বলেছেন, শারমিন আক্তার নিয়মিত ঝগড়াটে মহিলা ছিল। কিন্তু আব্দুর রহমান এই স্ত্রীকে ভালো করতে প্রতিনিয়ত বুঝানোর চেষ্টা করত। তারপরও শারমিন আক্তার আব্দুর রহমানকে নিয়মিত মানষিক যন্ত্রনাও দিত। তবে এসবকে বারবার মিমাংসা করে দিত আব্দুর রহমানের পিতা কাসেম ও আব্দুর রহমানের মা। স্ত্রী শারমিনের অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অতিষ্ঠ হয়ে আবদুর রহমানকেও শ্বাসন করত।
এদিকে ১৮ অক্টোবর বাসায় কেউ না থাকা অবস্থায় হঠাৎ ঘরের রুমে দরজা আটকিয়ে হঠাৎ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়। এর আগেও হারফিক খেয়ে আত্মহত্যা করতে চাওয়ায় আব্দুর রহমানের পরিবার একটি থানায় জিডিও করেন। কিন্তু এই আত্মহত্যার ঘটনাকে পুঁজি করে কিছু মানুষ আবদুর রহমানের পরিবারের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। যা পরিবারটিকে হয়রানি করতে পায়তারা পায়তারা চালানো হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী বলেন সুষ্ঠু সমাধানের পথ খুঁজে বের করা ।
পুলিশে পক্ষ থেকে জানা যায় যে, শারমিন আক্তারের গায়ে হালকা একটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেলেও কিন্তু শারমিন নিজেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এবিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, ঘোনারপাড়া এলাকায় একটি আত্নহত্যা করার ঘটনা শুনেছি। তবে লাশ হাসপাতালে রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সুরতহাল রিপোর্ট এবং তদন্ত করার পর সবকিছু জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখানো কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। যদি অভিযোগ দেয়া হয় তদন্ত করে ঘটনার বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।