মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলাধীন মেঘনা এবং গোমতী নদীতে চলাচলকারী নৌযানে চাঁদাবাজি ও সরকার অনুমোদিত বালু মহালের সীমানার বাহিরে গিয়ে বালু উত্তোলন করার অপরাধে ৬ চাঁদাবাজকে আটক ও ৩টি ড্রেজার জব্দ করেছে সেনাবাহিনী।
আটকৃতরা হলো,আপন (৩৮), নেয়ামত উল্লাহ(৩৩), ইউসুফ(৫৪), মোতালেব (২৬),রিপন (২৯), আনোয়ার হোসেন(৪০)।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গজারিয়া উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নৌযান থেকে চাঁদা তোলার সময় ৬ নৌচাঁদাবাজকে হাতেনাতে আটক করা হয়। অন্যদিকে নদীর বাহার কালীপুরা এলাকায় সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বালু মহলের সীমানার বাহিরে গিয়ে বালু উত্তোলন করার সময় তিনটি ড্রেজার জব্দ করেন তারা।
স্থানীয়রা কয়েজন জানান, সরকার অনুমোদিত কোনো বালু মহাল না থাকলেও গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া এবং চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সীমানা ঘেঁষে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করতো প্রভাবশালী একটি চক্র। নৌ ডাকাত বাবলা ও নয়ন বাহিনীর লোকজন দিনে-রাতে অনবরত মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করলেও একাধিকবার অভিযান চালিয়েও তা বন্ধ করতে পারেনি প্রশাসন। এদিকে নদীর কালীপুরা এলাকায় একটি বৈধ বালু মহাল থাকলেও রাতের আঁধারে নদীর তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ রয়েছে ইজারা পাওয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। নদীর তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে বাহার কালীপুরা গ্রাম। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করলেও তাতে কোন লাভ হয়নি। সম্প্রতি তারা সেনা ক্যাম্পে বিষয়টি জানালে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় আজ অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জিল্লুর রহমান বলেন, 'আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। দেশের মানুষের জান মালের নিরাপত্তায় যা যা প্রয়োজন সেনাবাহিনী তাই করবে। আটকৃতদের গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করা হয়েছে'।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, ' আটককৃত চাঁদাবাজ ও জব্দকৃত ড্রেজার তিনটি সেনাবাহিনী আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে'।